ড্রাগন ফল চাষে ঘুচতে পারে বেকারত্ব

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ৬:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডটকম:

Dragon-fruitবাংলাদেশে অপ্রচলিত এক ফলের নাম ড্রাগন। আর সেই অপ্রচলিত ফলের চাষাবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয়তার সৃষ্টি করছে। ভাল পুষ্টিমানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক দিক দিয়েও লাভজনক এ ফল। রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা কেজি। আর রাজধানী ঢাকার অভিজাত বিপণীগুলোতে তা বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি দরে। তবে এই দাম সাধারণ ক্রেতাদের অনেকের আওতার বাইরে।

রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে এই অর্থকরী ফসলের শতাধিক প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীন ইন্টিগ্রেটেড কোয়ালিটি হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ৩৫টি জেলার কৃষকদের এই ফল চাষের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে হর্টিকালচারের ৪৩টি কেন্দ্র।

হর্টিকালচার প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক এস এম কামরুজ্জামান জানান, ‘কিছু কিছু বিদেশী ফল বাংলাদেশে সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। ড্রাগন তার একটি। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টার সম্প্রতি বাংলাদেশে ড্রাগন ফল আমদানি করে এবং কয়েকটা জেলায় চাষ করে।’

এটি একটি সাধারণ ক্যাকটাসের মত সবুজ গাছ। উচ্চতা হয় দেড় মিটার থেকে আড়াই মিটারের মত। পাতা নেই। আছে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা। বীজ এবং শাখা উভয় থেকেই গাছটির চারা উৎপাদন করা যায়। বীজ থেকে চারা করলে সময় একটু বেশি লাগে। তাই শাখা থেকে চারা উৎপাদন করা হয় বেশি।ড্রাগন সবার খাওয়ার উপযোগী একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, খনিজ ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমায়। ডায়াবেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি সহায়তা করে।

এ ফলের চাষ সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন করা গেলে সম্ভানাময় এ ফসল চাষিদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G